Dhaka to India
ইন্ডিয়া যেতে চাইলে প্রথমে যা লাগবে তা হোল পাসপোর্ট। এরপর ইন্ডিয়ান ভিসা করতে হবে। ডলার এন্ডোর্স করতে হবে। এরপর কোথায় যাবেন কিভাবে যাবেন সে অনুযায়ী টিকেট কিনতে হবে। চলুন দেখি ইন্ডিয়ার কোথায় কিভাবে যাওয়া যায়।
Dhaka to Kolkata
তিন ভাবে আপনি ঢাকা থেকে কলকাতা যেতে পারবেন। বিমানে, ট্রেনে এবং বাসে। এর মধ্যে যেকোনো একটি বেছে নিন।
ঢাকা-কলকাতা বিমানঃ অনলাইনে সস্তায় এয়ারটিকেট কিনুন ।
ঢাকা-কলকাতা ট্রেনঃ ট্রেনে দুইভাবে যেতে পারেন।
১। ঢাকা থেকে সরাসরি ট্রেন। ঢাকা-কলকাতা সরাসরি শুধু এসি ট্রেন আছে। যার ভাড়া পরবে চেয়ার কোচ ২৭০০ টাকা ট্রাভেল ট্যাক্স সহ অথবা কেবিন সিট ৩৪০০ টাকা ট্রাভেল ট্যাক্স সহ। আমার মনে হয় কেবিন সিট এর চেয়ে চেয়ার কোচ ই ভাল। ট্রেন ঢাকা থেকে ছাড়ে শনিবার, সোমবার এবং বুধবার। কলকাতা থেকে ছেড়ে আসে রবিবার, মঙ্গলবার এবং বৃহস্পতিবার। ট্রেনে আপনাকে খাবার দিবে। ট্রেন ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন (রেডিসন হোটেলের ঠিক পাশে) থেকে ৭ টায় ছাড়ে এবং কলকাতার চিৎপুর রেল স্টেশনে পৌঁছে। চিৎপুর বড়বাজারের দক্ষিনে অবস্থিত। সেখান থেকে চলে যান আপনার গন্তব্যে।
২। ঢাকা থেকে বেনাপোল ট্রেন। নন এসি ৪৮৫ টাকা। এসি কেবিন একজন ১৪৫৫ টাকা+১৫% ট্যাক্স। অনলাইনে টিকেট কাটতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ২০ টাকা বেশী লাগবে। শোভন চেয়ার এর ভাড়া পরবে ৫০৫ টাকা। ট্রেন বৃহস্পতি বার ছাড়া প্রতিদিন ঢাকা থেকে বেনাপোল যাবে। রাত ১১ঃ১৫ তে ঢাকার কমলাপুর থেকে যাত্রা শুরু করবে এবং সকাল ৮ঃ২০ এ বেনাপোল পৌছবে। মাঝে ঢাকা এয়ারপোর্ট, ইশ্বরদি, যশোর এবং আরকিছু স্টেশন থামবে। আবার বেনাপোল থেকে বুধবার ছাড়া প্রতিদিন ঢাকা আসবে। দুপুর ১ টায় বেনাপোল থেকে ছেড়ে রাত ৯ টায় ঢাকা আসবে। আমি এয়ারপোর্ট স্টেশন থেকে উথেছিলাম। ট্রেন আসার কথা ১১ঃ৪৫ এ কিন্তু এসেছে ১ ঘণ্টা পরে অর্থাৎ ১২ঃ৪৫। আর বেনাপোল গেলাম সকাল ৯ঃ৪৫ এ। অর্থাৎ যে কারনে আমি ট্রেনে গেলাম একটু তারাতারি যাওয়ার জন্য তা হলো না। সুতরাং আমার ঢাকা-বেনাপোল বাসে গেলেই ভাল হত। বেনাপোল স্টেশন থেকে বর্ডার হেটে যাওয়া যায় না। স্টেশনের বাইরে দেখবেন অটো এবং ভ্যান আছে। বর্ডার পর্যন্ত জনপ্রতি ভাড়া ২০ টাকা। সুতরাং অটো তে উঠে পরুন। দুই দেশের ইমিগ্রেশন কিভাবে পার করবেন তা নিচে লিখেছি। ইমিগ্রেশন পার হয়ে ইন্ডিয়ার সাইড এর নাম পেট্রাপোল। পেট্রাপোল থেকে কিভাবে কলকাতা যাবেন তা নিচে দেয়া আছে।
ঢাকা-কলকাতা বাসঃ বাসে তিন ভাবে যেতে পারেন।
১। ঢাকা থেকে সরাররি বাস। ঢাকা-কলকাতা সরাসরি শুধু শ্যামলী পরিবহন এসি বাস আছে। যার ভাড়া পরবে রাতে গেলে ১৯০০ টাকা ট্রাভেল ট্যাক্স ছাড়া। আর দিনে গেলে ১৭০০ টাকা ট্রাভেল ট্যাক্স ছাড়া। তবে সরাসরি বাস আর অন্য বাসের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই। বর্ডারে আপনাকে নামতেই হবে। ট্রাভেল ট্যাক্স দিতে হবে। ইমিগ্রেশন পার হতে হবে আপনার নিজেকেই। পেট্রাপোল একই বাস অপেক্ষা করবে। আপনি উঠে চলে যাবেন কলকাতা।
২। এ ক্ষেত্রে সোহাগ, গ্রীন লাইন অথবা যেকোনো বাসে ঢাকা-কলকাতা টিকেট কিনবেন। ভাড়া সোহাগ-এ এসি ১৭০০ টাকা। সাউদিয়া ১৪০০ টাকা। এ ক্ষেত্রে বাস আপনাকে বেনাপোল নিয়ে যাবে। বেনাপোলের কাছে যেতেই আপনার কাছ থেকে ৭০০ টাকা আর পাসপোর্ট নিবে। এরপর আপনি বাসের কাউন্টারে অপেক্ষা করবেন। ওরা আপনার ট্যাক্স দিয়ে বাংলাদেশের এক্সিট সিল নিয়ে দিবে। আপনি শুধু ইন্ডিয়া ইমিগ্রেশনে নিজে কাজ করবেন। এরপর পেট্রাপোল থেকে একই কোম্পানির অন্য একটি গাড়ীতে উঠে চলে যাবেন কলকাতা। সরাসরি বাসের চেয়ে সুবিধা বরং একটু বেশী।
৩। আপনি নন এসি সোহাগ অথবা অন্য বাসে বেনাপোল যেতে পারেন। ভাড়া ৬০০ টাকা। দুই দেশের ইমিগ্রেশন কিভাবে পার করবেন তা নিচে লিখেছি। ইমিগ্রেশন পার হয়ে ইন্ডিয়ার সাইড এর নাম পেট্রাপোল। পেট্রাপোল থেকে কিভাবে কলকাতা যাবেন তা নিচে দেয়া আছে।
বেনাপোল-পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনঃ
বেনাপোল
নেমে আপনাকে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন অফিস এসে ট্রাভেল ট্যাক্স এবং পোর্ট ট্যাক্স দেয়ার জন্য লাইন ধরে ট্যাক্স দিতে হবে ৫০০
টাকা ট্যাক্স কিন্তু নেয় ৫৫০ টাকা আর ৫২ টাকা পোর্ট ট্যাক্স। মনে রাখবেন শুক্র ও শনিবার লাইন বড় হয়। আর যদি ৩/৪ দিন অফিস ছুটির দিনে যান তাহলে তো কথাই নেই। এরপর পাশের গেইট দিয়ে ঢুকলে গেইটে ট্রাভেল ট্যাক্স আর পোর্ট ট্যাক্স স্লিপ দেখবে। এরপর চলে যাবেন ইমিগ্রেশন। গেইটে করোনার সার্টিফিকেট দেখবে। এরপর এক্সিট ফর্ম নিয়ে ফিলআপ করে ইমিগ্রেশন ডেস্কে যাবেন যেখানে দেখলাম আপনাকে আটকানোর এবং আপনার কাছ থেকে টাকা খাওয়ার সব রকম চেষ্টা করবে।
১। আপনার করোনার সার্টিফিকেটের ফটোকপি চাইবে। অরিজিনাল দেখালে হবে না। ফটোকপি দিয়ে কি করবে জানি না। আপনার কাছে না থাকলে বলবে বাইরে থেকে ফটোকপি করে আনেন। এত দূরে যেয়ে আপনি ফটোকপি করতে না চাইলে ১০০ টাকা দিন ঘুষ।
২। এরপর আপনার এনওসি দেখতে চাইবে। না দিলে দেন ঘুষ।
৩। আপনার ডলার এন্ডোরস করেছেন ডলার দেখতে চাইবে। না দেখাতে পারলে মনে করেন ৬০০/৮০০ টাকা ঘুষ দিতে হবে।। পাসপোর্টে এক্সিট সিল নিয়ে বের হয়ে চলে যাবেন ইন্ডিয়াতে।
গেইটে আপনার পাসপোর্ট চেক করবে। প্রথমে আপনাকে এন্ট্রি ফর্ম ফিলআপ করতে হবে। ফর্মে লিখতে হবে কোন হোটেলে যাবেন তার নাম ও ঠিকানা। যেকোনো একটা নাম দিয়ে দিন। এরপর চলে যান ভিতরে। ব্যাগ বেল্টে দিয়ে নিয়ে ইমিগ্রেশন ডেস্কে যাবেন। এরপর এন্ট্রি সিল নিয়ে সামনে এগিয়ে যান। গেইটে সিকিউরিটি পাসপোর্ট দেখবে। এরপর বেরিয়ে আসুন পেট্রাপোলে।
ডলার বা টাকাকে রুপী করাঃ পেট্রাপোলে অনেক মানি এক্সচেঞ্জ আছে। যেকোনো বাস কাউন্টার থেকে ভাঙ্গাবেন। রাস্তায় কোন লোকের কাছ থেকে ভাঙ্গাবেন না। ইচ্ছা করলে কলকাতা যেয়েও ভাঙ্গাতে পারবেন।
পেট্রাপোল টু কলকাতাঃ
পেট্রাপোলে (ইন্ডিয়ার সাইড) পৌঁছে
আপনি দুই ভাবে কলকাতা যেতে পারবেন।
(১) পেট্রাপোল-কলকাতা বাসঃ
সব এসি বাস। ভাড়া ২৭০ রুপী। পেট্রাপোলে অনেক সার্ভিস আছে। সোহাগ, গ্রীন
লাইন ইত্যাদি। সময় লাগে ৩ ঘণ্টা। তবে জ্যাম থাকলে ৫ ঘণ্টার অভিজ্ঞতাও আমার
ছিল।
(২) পেট্রাপোল-কলকাতা ট্রেনঃ পেট্রাপোল থেকে সরাসরি কোন ট্রেন নেই। কাছাকাছি বনগাও স্টেশন আছে। তাই আপনাকে প্রথমে বনগাঁও যেতে হবে। পেট্রাপোলে বেবি ট্যাক্সি আছে। এরা বনগাঁও যায়। ভাড়া জনপ্রতি ৫০ রুপী। ৫ জন করে এক বেবি ট্যাক্সিতে যায়। সুতরাং আপনি ১৫০ রুপী দিয়ে রিজার্ভ নিতে পারবেন। স্টেশন পৌছতে সময় লাগবে আধা ঘণ্টা। ট্রেন ১০ঃ৪৫, ১১ঃ৩০ এবং ১২ টায় ছেড়ে যায়। বনগাঁও স্টেশন যেয়ে ট্রেন এর টিকেট কাটবেন। ২০ রুপী কলকাতা। ট্রেনে সীট বরাদ্দ থাকে না। যে আগে বসতে পারে। ট্রেনে সময় লাগবে ২ ঘণ্টা। ট্রেন নিয়ে নামাবে কলকাতা শিয়ালদহ স্টেশন। সেখান থেকে চলে যান আপনার গন্তব্যে।
ঢাকা থেকে কলকাতা সবচেয়ে কম খরচে যেতে চাইলে প্রথমে ঢাকা টু বেনাপোল ট্রেনে আসুন। ভাড়া ৪৮৫ টাকা। এরপর ট্রাভেল ট্যাক্স ৫৫০ টাকা আর ৫২ টাকা পোর্ট ট্যাক্স, দুই দেশের ইমিগ্রেশন পার হয়ে, ইন্ডিয়ার পেট্রাপোলে যান। পেট্রাপোল থেকে বেবি ট্যাক্সি নিয়ে চলে যান বনগাঁও স্টেশন। ভাড়া জনপ্রতি ৫০ রুপী। বনগাঁও স্টেশন থেকে ট্রেনের ভাড়া ২০ রুপী কলকাতা শিয়ালদহ স্টেশন। সেখান থেকে চলে যান আপনার গন্তব্যে।
সুতরাং ঢাকা টু কলকাতা ভাড়া পড়লো ৬০২ টাকা ট্রাভেল ট্যাক্স আর পোর্ট ট্যাক্স সহ ১০৮৭ টাকা। ট্রাভেল ট্যাক্স শুধু যাওয়ার সময় লাগবে আসার সময় না। অর্থাৎ এভাবে ঢাকা টু কলকাতা যাওয়া আসার মোট খরচ ১৭৭২ টাকা ট্রাভেল ট্যাক্স আর পোর্ট ট্যাক্স সহ।
জেনে নিন কলকাতা কোথায় থাকবেন এবং কোথায় ঘুরবেন।
Dhaka to Agartala
ঢাকা থেকে আগরতলা সরাসরি এসি বাস আছে রয়্যাল কোচ এবং শ্যামলী পরিবহন। ভাড়া ৭০০ টাকা। সকাল ৮ টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়। আগারতলা পৌঁছে দুপুর ১২ টায়।
আমি গিয়েছিলাম ট্রেনে। ঢাকা টু আখাউড়া, ট্রেন ভাড়া শোভন চেয়ার - ১৬০ টাকা, স্নিগ্ধা - ২৬৫ টাকা+১৫% ট্যাক্স এবং এসি ৩১৫ টাঁকা+১৫% ট্যাক্স। আগরতলা যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে সকালের টিকেট কাটতে হবে। সকালের একটাই ট্রেন আছে মহানগর প্রভাতী। অনলাইনে ৫ দিনের বেশী এডভান্স টিকেট কাটতে পারবেন না। আবার দেখা যায় ৫ম দিনের টিকেট নাও পেতে পারেন। তাই আমি আমার কাছাকাছি কাকলী স্টেশনে যেয়ে টিকেট কেটেছি। স্টেশন থেকে টিকেট কিনতে অবশ্যই আপনার এনআইডি নাম্বার বলতে হবে। সুতরাং কার্ড নিয়ে যাবেন। দেখে দেখে নাম্বার বলবেন। মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি সকাল ৭ টা ৪৫ মিনিটে কমলাপুর থেকে ছেড়ে যায়। ঠিক ৮ টায় এয়ারপোর্ট স্টেশন আসবে। আমি কমলাপুর থেকে না উঠে এয়ারপোর্ট স্টেশন থেকে ঠিক ৮ টায় উঠেছি। আখাউড়া স্টেশনে পৌছতে সময় লাগবে আড়াই ঘণ্টা।
আখাউড়া স্টেশন থেকে বের হলে দেখবেন লাইন ধরে সিএনজি দাড়িয়ে আছে, বর্ডার বর্ডার বলে ডাকবে। সব রিজার্ভ সিএনজি। প্রথম দিকে সিএনজি ভাড়া বেশী চাইবে ১০০ টাকা থেকে এমনকি ২০০ টাকা। তাই একটু হেটে সামনে যেয়ে পিছনের সিএনজি দামাদামী করে উঠবেন ৬০ টাকায়। সিএনজি আপনাকে ইমিগ্রেশন অফিসের গেইটে থামাবে।
ইমিগ্রেশন অফিসের গেইটের সোজা ভিতরের রুমে যেয়ে প্রথমে আমি ট্রাভেল ট্যাক্স দিলাম ৫০০ টাকা। খুশি হয়ে কিছু দিতে বলবে, না শোনার ভান করে চলে যাবেন। এরপর পাশের রুমে কাস্টমস। সেখানে ট্রাভেল ট্যাক্স সাইন করবে। এখানেও খুশি হয়ে কিছু দিতে বলবে। হেসে বলবেন আসার সময় দিব বলে চলে যাবেন। বের হয়ে ডান দিকে কিছুদুর যাবেন। রাস্তার বাম পাশে চেক পোস্টে পাসপোর্ট দিবেন এন্ট্রি করবে। এরপর আর একটু সামনে ডান দিকে এক্সিট সিল নেয়ার জন্য এক্সিট ফর্ম পুরন করে লাইনে দাঁড়াবেন। এক্সিট সিল নিয়ে বের হয়ে ইন্ডিয়া গেইটে ঢুকবেন।
ইন্ডিয়ার গেইটে পাসপোর্ট দেখবে। এরপর সোজা শেষ মাথায় গেলে ডান দিকে ইমিগ্রেশন অফিস। খুব সুন্দর এয়ারপোর্টের মত। ঢুকে প্রথমে এন্ট্রি ফর্ম নিয়ে ফিল আপ করবেন। ফর্মে লিখতে হবে কোন হোটেলে যাবেন তার নাম ও ঠিকানা। যেকোনো একটা নাম দিয়ে দিন। Hotel Rangamati, Address: Battala, Melarmath, Agartala, Tripura, Phone Number: +91 93663 02328. এরপর এন্ট্রি সিল নিয়ে সামনে এগিয়ে যান। কাস্টমস চেক হতে পারে। আমার হয়নি। গেইট এ সিকিউরিটি পাসপোর্ট দেখবে। এরপর বেরিয়ে আসুন।
ভাঙ্গা রাস্তা একটু সোজা হেটে গেলে ডান পাশে টাকা বা ডলার থেকে রুপী করার কিছু মানি এক্সচেঞ্জ দেখবেন। তিন চারটা দেখে আমি শেষের টা থেকে টাকাকে রুপী করেছি। তখন ১০০ টাকায় আমাকে ৭৩ রুপী দিয়েছিল। সেখান থেকে বের হয়ে আমি রিজার্ভ অটো না নিয়ে লাইনের অটোতে উঠলাম বট তলা যাব। ভাড়া জনপ্রতি ১০ টাকা। ভাংতি লাগবে। তাই আমি অটো তে উঠার আগে একটা দোকান থেকে কিছু খেয়ে ভাংতি করে নিয়েছিলাম। অটো আমাকে বট তলা নিয়ে গেল। বট তলায় হোটেল আছে। কিন্তু আমি যাব বাম দিকে (পূর্বে) পোস্ট অফিস মোড় থেকে একটু সামনে। তাই আর একটি অটো তে উঠবো। কিন্তু মোড়ে (উত্তর-পূর্ব পাশে) দেখলাম একটা খাবার রেস্তোরা। দুপুর হয়ে গেলো তাই সেখানে খেয়ে নিলাম। আমার মতে এখানে কম খরচে খেতে পারবেন। ৫০ টাকায় ভাত + ভেজ (বিভিন্ন সবজি আর ডাল)। একটা ডিম ভুনা সাথে এক পেয়ালা ঝোল মাত্র ১০ টাকা। সুতরাং ৬০ টাকায় আমার দুপুরের খাবার শেষ।
রেস্তোরা থেকে বের হয়ে দেখলাম অটোগুলো 'মোটর' বলে ডাকছে। উঠে পড়লাম। ১০ টাকা দিয়ে আমি পোস্ট অফিস মোড় থেকে একটু সামনে নেমে গেলাম। এখানে ভাল কিছু হোটেল আছে। ভাড়া ১৫০০ রুপী এসি ডাবল। তবে সস্তা হোটেল চাইলে আপনাকে যেতে হবে মসজিদ রোড। সেখানে ২০০ রুপীতে হোটেল পাবেন। শুধু সিঙ্গেল খাট আছে এমন একটা ছোট রুম। কোন রকম রাত টুকু থাকার জন্য। পাশেই মসজিদ আছে।
জেনে নিন কোথায় ঘুরবেন আগরতলায়।
আশা করি পোস্টটি আপনাদের কাজে লাগবে। পোস্টটি শেয়ার করুন আপনার বন্ধুদের সাথে। পোস্ট সম্পর্কে আপনার মতামত লিখুন নিচের কমেন্ট বক্সে।
আরও কিছু দরকারী পোস্ট:
Click below to go Homepage
No comments:
Post a Comment